পুজোয় বাজার মাতাতে আসছে - মেঘলা বালুচরি : শাড়িতে অভিনবত্ব

31st August 2020 3:56 pm বাঁকুড়া
পুজোয় বাজার মাতাতে আসছে - মেঘলা বালুচরি : শাড়িতে অভিনবত্ব


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  করোনাময় পরিস্থিতিতেও ক্যালেণ্ডারের নিয়ম মেনে পুজো আসছে। আর এবার পুজোয় শাড়ি প্রেমীদের জন্য সুখবর নিয়ে হাজির বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের বালুচরী শিল্পীরা। এবার সাধ্যের মধ্যে সাধ পূরণের আয়োজন তাদের। সঙ্গে এবার রয়েছে নব উৎপাদিত বালুচরিতে বৈচিত্রের ছোঁয়াও।

করোনার কাঁটায় বিদ্ধ বাঁকুড়ার হস্তশিল্পও। এই অবস্থায় একের পর এক ধুঁকতে শুরু করেছে জেলার ঐতিহ্যবাহী হস্তশিল্পগুলি। শিল্পীদের পাশাপাশি অন্যদিকে চরম আর্থিক সমস্যায় সাধারণ মানুষও। সেকারণেই এবার পুজোয় 'সাধ্যের মধ্যে সাধপূরণে' বাজারে আসতে চলেছে বিষ্ণুপুরের বালুচরি শিল্পীদের হাতে তৈরী 'মেঘলা বালুচরি'। যা শাড়ি ছাড়াও চুড়িদার বা লেহেঙ্গার মতো করে পরা যাবে।

শিল্পী অমিতাভ পাল বলেন, এই শাড়িতে দু'টো খণ্ড রয়েছে।  নিচের অংশ পেটিকোটের মতো, উপরেরটা উত্তরীয়ের মতো। চাইলে উপরের অংশ নিচে বা নিচের অংশ উপরে পরা যায়। একই সঙ্গে কোন সহযোগী ছাড়াই দ্বিখণ্ডিত এই শাড়ি পরা সম্ভব। একই সঙ্গে তিনি জানান, বালুচরির সমস্ত বৈশিষ্ট অক্ষুন্ন রেখে এই শাড়ি তৈরী হয়েছে। পার্থক্য শুধুমাত্র বালুচরি যেখানে খুব ভারী, মেঘলা বালুচরি খুব হালকা ও আরামদায়ক। আগে এই শিল্পী যেখানে দেড় লাখি বালুচরি তৈরি করেছেন, বর্তমান কোভিড পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের কথা ভেবে তিনিই ৭ থেকে ১২ হাজার টাকা মূল্যের এই মেঘলা বালুচরি তৈরী করছেন। আর অভিনব এই কাজে তন্তুজ সহায়তা করেছে বলে তিনি জানান।

মেঘলা বালুচরী হাতে পেয়ে খুশী শাড়ি প্রেমীরাও। ঝুমু পাল বলেন, বালুচরী সাধারণত খুব ভারী হয়। দীর্ঘক্ষণ পরে থাকলে অস্বস্তি হয়। নব উৎপাদিত এই মেঘলা বালুচরি খুব হালকা। দীর্ঘক্ষণ পরে থাকা যায়। আরামদায়কও বটে বলে তিনি জানান।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।